বাল্ব,হোল্ডার,সুইচ

ইলেকট্রনিক পণ্যের দেশে সবচেয়ে বেশি দোকান রয়েছে রাজধানীর নবাবপুর এলাকায়। এখানকার কয়েক হাজার দোকানে পাইকারি ও খুচরা পণ্য বিক্রি হয়। দামও তুলনামূলক কম। এ ছাড়া অন্যান্য শহরে গড়ে ওঠা শপিং মলগুলোর পাশাপাশি গলির দোকানেও এখন তার, বাল্ব, সকেটসহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক পণ্য মেলে।

বাল্ব
স্বচ্ছ আলো পেতে ঘরে রুমের পরিমাপ অনুযায়ী বাল্ব ব্যবহার করার নিয়ম। স্বচ্ছ সাদা আলো পেতে সাধারণত এনার্জি সেভিংস ও এলইডি বাল্ব ব্যবহার করা হয়। ওয়াটের কমবেশির ওপর দাম নির্ভর করে। বাজারে ট্রান্সটেক ব্র্যান্ডের ৩২ ওয়াটের বাল্ব বিক্রি হচ্ছে ৫৬০ টাকায়। এ ছাড়া ২৪ ওয়াট ৪৪০, ১৪ ওয়াট ২৮০, ৮ ও ৫ ওয়াট ১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।একইভাবে সুপারস্টার,

ক্লিক, এনার্জিপ্যাক ব্র্যান্ডের বাল্বের দামও অনেকটা একই। এগুলোর মধ্যে দামের পার্থক্য ওয়াটভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকার মতো। সবগুলোতেই পাওয়া যাবে এক বছরের ওয়ারেন্টি। সাধারণ বাল্বের পাশাপাশি বাজারে এখন এলইডি লাইটের চাহিদা বেড়েছে। এলইডি লাইট ট্রান্সটেকের ১৩ ওয়াট কিনতে খরচ করতে হবে ৩৬০ টাকা। ১৫ ওয়াট ২৭০ টাকা, ১৮ ওয়াট ৩৩০ টাকা, ২০ ওয়াট ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এনার্জিপ্যাকের ২০ ওয়াটের দাম ৩৮০ টাকা, ১৮ ওয়াট ৩৪০ টাকা। তুলনামূলক বেশি দাম টিউবলাইটের।বাজারে ট্রান্সটেক, ফিলিপস, সুপারস্টারসহ নানা ব্র্যান্ডের টিউবলাইট বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে।

হোল্ডার
ইলেকট্রিক যেসব পণ্য ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে সবচেয়ে কম দাম বলা যায় হোল্ডারের। একেবারে ভালো মানের হোল্ডার নিতে গেলেও গ্রাহককে খুব বেশি খরচ করতে হয় না। বাজারে থাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হোল্ডার বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।

সুইচ
সুইচ কেনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার পাশাপাশি আকার ও নকশা ঘরের সঙ্গে মানানসই কি না তাও দেখা হয়। বাজারে নামিদামি ইলেকট্রিক ব্র্যান্ড ছাড়া অনেক বেনামি ব্র্যান্ড একেবারে সাধারণ মানের সুইচ তৈরি করে থাকে। যেগুলো ২০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।একটি বোর্ডে যে কয়টি সুইচ লাগে তাকে গ্যাং বলে। আর সুইচ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিক্রি করা হয় এই ‘গ্যাং’ হিসেবে। সুপারস্টারের পাঁচ সুইচের গ্যাং বিক্রি করছেন ৪৫০ টাকায়। এ ছাড়া তিন সুইচ ৩৮০ এবং এক সুইচ ১০০ থেকে দেড় শ টাকায় পাওয়া যাবে।

ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভর করে সুইচের দাম, ২০ থেকে ৩০ টাকার হেরফের হয় বলে জানান তিনি।সকেট
ভালো সকেট না হলে অনেক সময় বিদ্যুতের লোড সহ্য করতে পারে না। বাজারে কিছু সকেট আছে, যেগুলোতে অনেক সময় আগুন ধরে যায় বা গলে যায়। তাই মানে ভালো না হলে সকেট ব্যবহার করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

মূলত ব্যবহারের ভিন্নতার কথা মাথায় রেখে সকেট কিনতে হয়। ব্র্যান্ডের ছোট সকেট কিনতে গেলে দাম পড়বে ১০০ থেকে ৫০০ টাকার মতো। তবে বড় কিছু সকেট আছে, যেগুলো ৫০০ থেকে হাজারের ওপর যেতে হবে। সাধারণ মানের সকেট পাওয়া যায় ৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে।

সার্কিটব্রেকার
বাসাবাড়িতে ভালো মানের সার্কিট ব্রেকার লাগানো খুব জরুরি।একধরনের স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রিক ডিভাইস হচ্ছে সার্কিট ব্রেকার।কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার সময় ওই লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত ডিভাইসগুলোকে নিরাপদ রাখবে এই সার্কিট ব্রেকারই।

বাজারে অনেক ধরনের সার্কিট ব্রেকারে পাওয়া যায় সাধারণ মানের সার্কিট ব্রেকারের দাম ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা। ডাবল ব্রেকারের সার্কিটে খরচ হবে ৫০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকার মতো। আর ট্রিপল ব্রেকারে খরচ হবে ৮০০ থেকে তিন হাজার টাকা। এসব ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে ফিলিপস, তোশিবা, ওসাকা ট্রান্সটেক, অন্যতম। তবে কারখানায় ব্যবহার করা সার্কিট ব্রেকারের দাম অনেক বেশি হয়।