পানি

আমাদের জীবনের জন্য পানি যেমন অত্যন্ত জরুরি, তেমনি নির্মাণ কাজে পানির ভূমিকা অপরিসীম।

নির্মাণ কাজে পানি দুইভাবে কাজ করে

) রাসায়নিক প্রক্রিয়া

পানি সিমেন্টের মধ্যকার পদার্থসমূহকে বিক্রিয়ার জন্য সাহায্য করে। পানি ছাড়া সিমেন্ট বালু ও খোয়ার মধ্যে সংযোগ তৈরি হয় না। পানি সিমেন্টের সেটিং (setting) ও হার্ডেনিঙে (Hardening) সাহায্য করে।

) ভৌত প্রক্রিয়া

ভৌতভাবে পানি কংক্রিটের কর্ম উপযোগিতা প্রদান করে। এছাড়া পানি দিয়েই কিউরিং করা হয়।

  • পানি অবশ্যই খাবার উপযোগী হতে হবে।
  • আয়রনের পরিমাণ বেশি হওয়া চলবে না (সমুদ্রের পানি কাজের অনুপযুক্ত)।
  • শ্যাওলা/আবর্জনা থাকা চলবে না।
  • এক ঘনফুট পানির ওজন ৬২.৪ পাউন্ড।

পানি সিমেন্ট এর সাথে বিক্রিয়া করে কংক্রিটকে শক্ত করে। এছাড়া সব পদার্থ একসাথে মিলিয়ে ঢালাই এর যোগ্য বানায়। পানি ততোটাই মেশানো উচিত যতটা দরকার। পারিন সম্ভাব্য কম ব্যবহার কংক্রিটকে অধিক শক্তিশালী করে তোলে।

পানির মাত্রা সম্বন্ধে কিছু কথা: কংক্রিটে পানির প্রয়োজনীয়তা ব্যবহারের সর্বনিম্ন চাহিদা নিশ্চিত করতে পারেল কংক্রিটে অধিক শক্তি অর্জন করা সম্ভব। পানির ব্যবহার কমানোর জন্য ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের এডমিক্সচার ব্যবহার করতে পারেন।

৫ লিটারের একটা টিন জোগাড় করুন। ৫ লিটারের টিন না পেলে ১০ বা ১৫ লিটারের বালতি দিয়ে মিস্ত্রি অথবাঠিচাকারকে বলুন এটা দিয়ে পানি মাপতে । ঢালাই করার সময় একব্যাগ সিমেন্ট ২৩ লিটারের চেয়ে বেশী পানি দেয়া উচিত নয়।

পানির পরিমাণ পরীক্ষণ (ফিল্ড টেস্ট): আপনি নিজেই পানির পরীক্ষা করতে পারেন। মশলা তৈরী হলে তা একটুখানি হাতে নিয়ে টিপে টিপে একটা ছোট বলের আকার দিন। এবার ঐ বলটিকে বাতাসে প্রায় এক মিটার উপরে ছুঁড়ে দিন এবং বলটি হাতে ফিরে আসার পর ভেঙ্গে যায় তার মানে হল মশলাতে পানির পরিমাণ বেশী। তাড়াতাড়ি মশলার পানি কম করুন, অন্যথায় মশলার শক্তি কম হয়ে যাবে। বলটা যদি হাতে গড়ার পরও ঠিক থাকে তাহলে পানির মাত্রা ঠিক আছে। আপনি এবার কাজ শুরু করতে পারেন।